ডিজিটাল মার্কেটিং “Digital Marketing” এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার ছোট ব্যবসাকে সফল করবেন!

“Digital Marketing” এখনকার প্রযুক্তিগত যুগে ব্যবসার ধরন অনেকটা পাল্টে গেছে। আগের সময় সফলতার জন্য শুধু জায়গা পণ্যর মান মুখের প্রচার এসব বিষয়ের উপর নির্ভর ছিল। আর এখন যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসা বড় করার কম্পিটিশন। বড় বড় কোম্পানি এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট প্রচার করে। তবে এখন ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং টা তাদের ব্যবসা অনেক বড় করার জন্য একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। সঠিকভাবে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারলে, খুব অল্প খরচে নিজের ব্যবসাকে নিমেষের মধ্যেই বড় করা সম্ভব।
আজকে আমরা জানব ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে আপনার ছোট ব্যবসাকে সফল ও বড় ব্যবসাতে রূপান্তরিত কিভাবে করব এবং আপনি কি করে এটি শুরু করবেন, জানবো বিস্তারিত।

কি এই ডিজিটাল মার্কেটিং?
এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে পণ্য পরিষেবা ইত্যাদি প্রচার ও বিক্রয় করা হয়, এটি মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং। এটি বিভিন্নভাবে করা হয় যেমন সোশ্যাল মিডিয়া সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট মোবাইল অ্যাপ ইমেল এগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে নিজের পণ্যের একটি সংযোগ স্থাপন করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাগ,
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য নিচের নিচের গুলি বেশি ব্যবহার। যেমন,
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন “search engine optimisation” (SEO)
- Email marketing
- Content creation marketing
- Social media marketing
- Google ads, Facebook ads Instagram ads ,
- Pay-per-click “PPC” advertising
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ আপনার ছোট ব্যবসার জন্য?
- অল্প খরচে বেশি ফলাফল লাভ করা
বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন টেলিভিশন ও পত্রিকা তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক কম খরচে হয় এবং অনেক টাকা সাশ্রয় হয়। আপনার যদি বাজেট কম থাকে তাহলেও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনি কিছু টাকার পরিবর্তে facebook,google,instagram এ অ্যাড চালিয়ে হাজার হাজার মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারবেন।

- নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
আপনার প্রোডাক্ট যদি বৃদ্ধ তরুণ মাঝারি বয়স্ক মানুষদের জন্য হয়, নির্দিষ্টভাবে তাদের কাছেই এই বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়া হয়। ফলে সঠিক পণ্য সঠিক গ্রাহকের কাছে পৌঁছাবে এর ফলে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI)অনেক বেশি হয়ে উঠবে।
- লাইভ ফলাফল ও এনালাইজ।
আপনি নির্দিষ্ট ড্যাশবোর্ডে গিয়ে, আপনার বিজ্ঞাপন টি কত জনের কাছে পৌঁছেছে কতজন ক্লিক করেছে কতজন আকৃষ্ট হয়েছে ও আপনার কত সেল হয়েছে সব সেই টাইবোর্ড এর মাধ্যমে লাইভ দেখতে পারবেন। এবং বিশ্লেষণ করতে পারবেন। ফলে ভবিষ্যতের জন্য আপনি আপনার বিজ্ঞাপনের স্ট্যাটাজি চেঞ্জ করতে পারবেন আপনার ফলাফল হিসেবে।
- ব্র্যান্ড স্টাবলিশ করার জন্য উত্তম ডিজিটাল মার্কেটিং।
সমাজ মাধ্যমে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া রেগুলার সক্রিয় থাকার ফলে আপনার ছোট ব্যবসা আস্তে আস্তে বড় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়ে থাকবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাগ,
ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্নভাবেই হয় নিজে তা আলোচনা করা হলো:–
1.SEO বা search engine optimization,
কি এই SEO ?, এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট, গুগল সার্চ এ সবার উপরে আনতে পারবেন যেটি আপনার প্রোডাক্ট বা আপনার ওয়েবসাইট টাকে অনেক ট্রাফিক ও রঙ্ক করতে সাহায্য করবে। যেমন, আপনার কোন পণ্য আপনি বিক্রি করছেন বা মার্কেটিং করেছেন সেটি যদি কেউ সার্চ করে গুগলে তাহলে আপনার ওই প্রোডাক্টটা সবার আগে আসবে এবং গ্রাহক আপনার প্রোডাক্টটাতেই ক্লিক করবে।
SEO এর মূল বিষয়।
- Keyword অনুসন্ধান ( Research)
- content বা ads বানানো।
- ওয়েবসাইটটি অপটিমাইজেশন করা
- ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করুন
2.সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (social media marketing)
Facebook, Instagram, YouTube এগুলো শুধু বিনোদনের জন্য নয় আপনার পণ্য বিক্রয় করার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করুন এগুলিকে। এখানে আপনি আপনার পণ্যের ছবি লাইভ ভিডিও অফার সেল রিভিউ এইসব আপনি শেয়ার করতে পারেন। যার ফলে আপনার প্রোডাক্ট আরো আগ্রহী গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে।।
Tips,
- দিনে অন্তত একটি করে পোস্ট করুন
- ওয়েবসাইটে কমেন্ট সেকশন যুক্ত করুন
- sponsored ads ব্যবহার করে আরো রিজ বাড়ান।
3.ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
ইমেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আগের এবং আগ্রহী গ্রাহকদের কাছে আপনি আপনার পণ্যের নিয়মিত আপডেট দিতে পারবেন যা নতুন অফার নতুন পণ্যের তথ্য পাঠানো এসবের মাধ্যমে।
Tips,
- Newsletter তৈরি করতে হবে
- একটি Email List তৈরি করুন
- ভালো করে Subject line দিতে হবে
4.কনটেন্ট মার্কেটিং (content marketing)
একটি high value content তৈরি করার পর গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন। উদাহরণ, ভিডিও টিউটোরিয়াল, পণ্যের রিভিউ, ই-কমার্স, কোন ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আপনি এটি করতে হবে।
এছাড়াও,
আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করার ব্যবসা থাকে তাহলে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটি রিভিউ ভিডিও বানান এবং কিভাবে ইউজ করতে হবে সেটি সেই ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরুন।
মার্কেটিং শুরু করবেন কিভাবে?

1.সঠিক উদ্দেশ্য কি সেটা নির্ধারণ করা
যেমন,
- *পণ্যের বিক্রি বাড়ানো
- *আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ানো
- *আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বানানো
2.আপনার প্রোডাক্ট এর জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন.
আপনি তরুণদের জন্য টার্গেট করতে পারবেন instagram বা ফেসবুক, এবং পেশাদারদের জন্য লিঙ্ক দিন বা পিনট্রেস্।
- আরো পড়ুন,
- ডিজিটাল মার্কেটিং “Digital Marketing” এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার ছোট ব্যবসাকে সফল করবেন!
- INDIA-PAKISTAN WAR, সংঘাতে বন্ধ হচ্ছে IPL !জরুরি বৈঠকে বোর্ড,যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নেবেনা ভারত।
- Operation Sindoor : কী এই অপারেশন সিন্দুর?
- You are in a fighter jet that’s why India is better than other country
- Technology: No cellular connectivity (Wi-Fi only
3.বাজেট পরিকল্পনা
আপনি প্রতিদিন কত টাকা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যয় করতে পারবেন সেটি নির্ধারণ করুন। মূলত গুগল ফেসবুকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়েও শুরু করতে পারবেন।
4.মার্কেটিং এর জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট
রোজ রোজ আপনি কি পোস্ট করবেন মার্কেটিং এর জন্য সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন। এর ফলে কাজটি রোজ রোজ করতে সুবিধা হবে।
5.ফলাফল বিবেচনা কর
ফেসবুকের জন্য ফেসবুক ইনলাইট, গুগলের জন্য গুগল এনালিটিক্স, এইসব ব্যবহার করে আপনি দেখতে পারবেন যে কোন পোস্টটি বা কনটেন্টটি কেমন পারফরমেন্স করছে।
ওয়েবসাইট কি করে তৈরি করবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস অথবা cms ব্যবহার করতে হবে, এগুলো থেকে আপনি একটি পিস হাজার ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য প্রথমে আপনাকে ডোমেন ও হোস্টিং কিনতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটটা নিজের মতো কাস্টমাইজ করতে হবে। হোম, সার্ভিস, ব্লগ এবং কন্টাক্ট পেজগুলি যুক্ত করতে হবে। গুগল এনালিটিক্স ও সার্চ কনসোল ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করতে হবে। ওয়েবসাইটটি ভালো করে অপটিমাইজ করতে হবে যেমন মোবাইল ফ্রেন্ডলি ও দ্রুত লোড নিশ্চিত করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া লিংক যুক্ত করে প্রচার করা শুরু করে দিতে হবে। নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে হবে যাতে ওয়েবসাইটটি সক্রিয় থাকে।

সফলতার বাস্তব উদাহরণ
- ১.বুটিক দোকান ঢাকা
নিজের ডিজাইন করা পোশাক দেখিয়ে দিনে ৫০-৬০ টি অর্ডার পাচ্ছেন ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে। শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে উনার অন্যের বিক্রি ১০ থেকে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
- 2. ঘরের তৈরি খাবার
“তুমি রান্না করলে”
ত্রিশটিরও বেশি রেগুলার অর্ডার পাচ্ছেন ইনস্টাগ্রামে রান্নার ভিডিও দেওয়ার মাধ্যমে। বেড়েছে অনেক ফলোয়ার। ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে করছে তিনি উন্নতি।
এখনকার সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ছোট ব্যবসাকে বড় করার জন্য প্রধান হাতিয়ার হতে পারে,এটি শুধুমাত্র একটি অপশন নাই। আপনার যদি কোন ছোট ব্যবসার থাকে তাহলে সেটিকে এখনি অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রদর্শন করুন। সঠিকভাবে পরিকল্পনা ধারাবাহিকতা ও শেখার আগ্রহ নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
FAQ,
কোন ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল কি ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য উপযুক্ত?
শুরুতে social media marketing ও local SEO সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এরপর ধীরে ধীরে CONTENT MARKETING ও email marketing যুক্ত করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি অনেক টাকা লাগে?
না, আপনার বাজেট যদি ৫০০ টাকাও থাকে তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। পরে ফলাফল বুঝে আস্তে আস্তে টাকা বেশি লাগাতে লাগবে।
ফ্রিতে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়
হ্যাঁ করা যায়, ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে পারেন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন। এছাড়াও আরো আছে।
দেরি করবেন না আজ থেকেই শুরু করে দিন ডিজিটাল মার্কেটিং। দেরি করা মানে কম্পিটিশন বেড়ে যাওয়া। সৌজন্যে random24x7।
ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স পেতে ক্লিক করুন লিঙ্কে।
তথ্য | লিংক |
---|---|
Paid course | TECHLEARNERS.IO |
Free course for beginners | TECHLEARNERS.IO |
Free course advance | UDEMY.COM |